"বাংলাদেশ ব্যাংক সহকারী পরিচালক পরীক্ষার প্রস্ততি কৌশল" 1st Part
বাংলাদেশ ব্যাংকে সম্প্রতি সহকারী পরিচালক পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। সকলের অনুরোধে বাংলদেশ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কিছু কৌশল আলোচনা করছি আজ। ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি পর্বে ভাগ করে আপনাদের সুবিধার্থে বিশদ আলোচনা করব। যারা একেবারেই নতুন, তাদের জন্য পরামর্শ গুলো বিশেষ সহায়ক হতে পারে। শুরুতেই বলে রাখি সব পদের জন্য প্রস্তুতি মোটামুটি একই ধরণের।
নিয়োগ পরীক্ষা মূলত তিনটি ভাগে বিভক্তঃ
১. এমসিকিউ
২. লিখিত ও
৩. মৌখিক
প্রথম পর্বে এমসিকিউ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা থাকছে আজকের লেখায়। এজন্য প্রথমেই আপনার প্রয়োজন হবে বিগত সকল পরীক্ষার প্রশ্ন সম্বলিত একটা প্রশ্নপত্র ও সমাধান বই। কোন বই ভাল তা নিয়ে আমার কোন ধারণা / পরামর্শ নেই। তবে বইয়ে ২০১৫ সালের অফিসার ও মুক্তিযোধ্যা কোটার পরীক্ষার প্রশ্ন সহ বিগত সকল পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান থাকতে হবে।
এই বইটিকে টেক্সট বুক ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করুন। প্রতিদিন রুটিন থেকে কয়েক ঘন্টা সময় হাতে নিয়ে বসুন। নিজেই নিজের জন্য একটা সাজেশন আর গাইডলাইন বানিয়ে ফেলুন।
১. এমসিকিউ
২. লিখিত ও
৩. মৌখিক
প্রথম পর্বে এমসিকিউ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা থাকছে আজকের লেখায়। এজন্য প্রথমেই আপনার প্রয়োজন হবে বিগত সকল পরীক্ষার প্রশ্ন সম্বলিত একটা প্রশ্নপত্র ও সমাধান বই। কোন বই ভাল তা নিয়ে আমার কোন ধারণা / পরামর্শ নেই। তবে বইয়ে ২০১৫ সালের অফিসার ও মুক্তিযোধ্যা কোটার পরীক্ষার প্রশ্ন সহ বিগত সকল পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান থাকতে হবে।
এই বইটিকে টেক্সট বুক ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করুন। প্রতিদিন রুটিন থেকে কয়েক ঘন্টা সময় হাতে নিয়ে বসুন। নিজেই নিজের জন্য একটা সাজেশন আর গাইডলাইন বানিয়ে ফেলুন।
কি পড়বেন তা বুঝার চেয়ে জরুরী হল কি পড়বেন না তা জানা। আপনার বানানো গাইডলাইন হবে আপনার প্রস্তুতির ব্লুপ্রিন্ট। আসুন জেনে নিই কিভাবে কাজটা করা যেতে পারে।
১. প্রথমেই বাংলা পার্ট দিয়ে শুরু করা যাক। সর্বশেষ পরীক্ষার, ধরুন ২০১৫ এর প্রশ্ন টির সাথে খোলা কাগজ আর পেন / পেন্সিল নিয়ে বসুন। প্রথম প্রশ্ন টা কোন আইটেম থেকে এসেছে সেটি কাগজে লিখে ফেলুন। হতে পারে প্রশ্নটা বিপরীত শব্দ থেকে এসেছে, তাহলে কাগজে ১. নং সিরিয়াল দিয়ে লিখুন, ১। বিপরীত শব্দ – ১৫। এভাবে প্রতিটি প্রশ্নের ক্যাটেগরি আলাদা করুন। সিরিয়াল অনুসারে সাজান বাংলা পার্টে কোনকোন আইটেম থেকে প্রশ্ন আসে। এভাবে কারক, সমাস, বচন, লিঙ্গ, সমার্থক শব্দ, সাহিত্য ইত্যাদি প্রায় ২০/২৫ টি আইটেম পাবেন। এবার যখন অন্য সালের অন্য কোন পরীক্ষার প্রশ্নে একই আইটেম আসবে তখন সেটির পাশে শুধু সালটা লিখুন।
উদাহরণঃ বিপরীত শব্দ – ১৫, ১৪, ১৩, ১১, ০৮, ০৭…. এরকমভাবে বিগত সব বছরের প্রশ্ন রিভিউ করে ফেলুন। কাজটি করার সময় প্রশ্ন গুলোর উত্তর শিখে ফেলতে ভুলবেন না। তাহলে একসাথে আপনার ‘রথ দেখা আর কলা বেচা’ দুটোই হয়ে গেল। কাজটা কম্পিউটারে করতে পারলে আরও নিখুঁত হতে পারে।
ডিরেক্টরী টা তৈরী হয়ে গেলে আপনার কাছে পানির মত স্বচ্ছ হয়ে যাবে যে বাংলা এমসিকিউ পার্টে কোন কোন আইটেম থেকে সবচেয়ে বেশী প্রশ্ন আসে, তারমানে কোন টপিক গুলো বেশি ইম্পরটেন্ট। কারও কাছে দয়া করে আর জানতে চাইতে হবেনা, ভাই কি পড়বো? এখন আপনি নিজেই আপনার ইন্সট্রাক্টর। ইম্পর্টেন্ট আইটেম গুলো আইটেম ওয়াইজ আপনার পছন্দের বই থেকেই পড়া শুরু করুন।
২. উপরের একই উপায়ে ইংলিশ ও ম্যাথের ডিরেক্টরী বানিয়ে ফেলুন। তবে সাধারণ জ্ঞান, কম্পিউটার ও আইটি পার্টের জন্য এটা করার দরকার নাই।
৩. সাধারণ জ্ঞান পার্ট এর জন্য রেডিও শোনা খুব ইফেক্টিভ। বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা, ডয়চে ভেলের বাংলা নিউজ প্রোগ্রাম গুলো প্রতিদিন শুনুন। বিশ্বাস করুন, আমি জীবনে কোনদিন সাধারণ জ্ঞানের কোন বই না পড়েও পার পেয়ে গেছি শুধু রেডিও শুনে আর পত্রিকা পড়ে। তবে নির্দিষ্ট কোন একটা বই থেকেও একই সাথে সাধারণ জ্ঞান পড়ুন। কারেণ্ট. নিউজ সহ অন্য যা যা অপশন আছে সব ট্রাই করতে পারেন, পড়লে কোন সমস্যা নাই। তবে প্রশ্ন ঘেটে আইডিয়া নিন প্রশ্নের ট্রেন্ড কেমন, আন্তর্জাতিক, বাংলদেশ, স্পোর্টস, হিস্ট্রি, রিসেন্ট ইভেন্ট, ইকোনমি কোন ধরনের প্রশ্ন বেশি আসে। মোটকথা বিগত বছরগুলোর প্রশ্নপত্র আপনার সবচেয়ে ভাল গাইডলাইন।
৩. সাধারণ জ্ঞান পার্ট এর জন্য রেডিও শোনা খুব ইফেক্টিভ। বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা, ডয়চে ভেলের বাংলা নিউজ প্রোগ্রাম গুলো প্রতিদিন শুনুন। বিশ্বাস করুন, আমি জীবনে কোনদিন সাধারণ জ্ঞানের কোন বই না পড়েও পার পেয়ে গেছি শুধু রেডিও শুনে আর পত্রিকা পড়ে। তবে নির্দিষ্ট কোন একটা বই থেকেও একই সাথে সাধারণ জ্ঞান পড়ুন। কারেণ্ট. নিউজ সহ অন্য যা যা অপশন আছে সব ট্রাই করতে পারেন, পড়লে কোন সমস্যা নাই। তবে প্রশ্ন ঘেটে আইডিয়া নিন প্রশ্নের ট্রেন্ড কেমন, আন্তর্জাতিক, বাংলদেশ, স্পোর্টস, হিস্ট্রি, রিসেন্ট ইভেন্ট, ইকোনমি কোন ধরনের প্রশ্ন বেশি আসে। মোটকথা বিগত বছরগুলোর প্রশ্নপত্র আপনার সবচেয়ে ভাল গাইডলাইন।
৪. উপরের নিয়মে সব প্রশ্ন গুলো সলভ্ করুন যতটা অল্পসময়ে সম্ভব, পারলে কয়েকদিনে। এবার আইটেম ওয়াইজ পড়ার পালা। দৈনিক কমপক্ষে আট ঘন্টার একটা রুটিন করে নিয়ে পড়া শুরু করুন। দেখবেন, পড়তে কত ভাল লাগবে। কারন কি কি পড়বেন আর কি না পড়লেও চলবে সেটা আপনি খুব ভাল ভাবে জানেন এখন। তবে চেষ্টা করবেন বাংলা, অংক, ইংরেজি, সাজ্ঞা ইত্যাদি সব আইটেম প্রতিদিন টাচ করতে। এতে প্রস্তুতি ব্যালেন্সড হয়। যে পার্টে দূর্বলতা বেশি সেখানে বেশি সময় দিন, কিন্তু কোন পার্টেই গুরুত্ব কম দিবেন না ভুলেও। যেখানে আপনার দক্ষতা ভাল, পারলে সেটাকে আউটস্ট্যান্ডিং লেভেলের করে ফেলুন। এটা কিন্তু খুব ব্যাসিক ও ইফেক্টিভ একটা স্ট্রাটেজি।
৫. সর্বোচ্চ ৩ মাস সময় আছে ভেবে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করুন। আপনার পুরো ডিরেক্টরীকে তিনমাস সময়ে ভাগ করে নিন। দেখবেন পড়তে মজা আর আত্মবিশ্বাস ও তুঙ্গে।
আপনি কিন্তু এসব টেকনিক মোটামুটি সব জানেন, খুব নতুন কোন আইডিয়া এখানে নেই। আপনি শুধু জানেন না যে টেকনিক গুলো আসলেই কার্যকরী। চোখকান বন্ধ করে পদ্ধতিটা নিজের মত রপ্ত করে নিন। আপনার ফেইট সাপোর্ট করলে সাকসেসফুল না হওয়ার কোন যৌক্তিক কারন নেই।
Comments
Post a Comment